নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত ২০শে মে ২০১৬ইং রোজ শুক্রবার রাত ৯ঘটিকায় কুয়েত সিটিস্থ রাজধানী হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখার উদ্যোগে বঙ্গকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রউফ মাওলার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগ সমিতি কুয়েতের সভাপতি মনির হুসেন মন্টু, বৃহত্তর সিলেট বিভাগ আওয়ামীলীগ কুয়েতের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বৃহত্তর সিলেট বিভাগ আওয়ামীলীগ কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক ও বৃহত্তর সিলেট সমবায় সমিতি কুয়েতের সিনিয়র সহ সভাপতি মুরাদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ সাত্তার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েতের আহ্বায়ক সামছুল ইসলাম, যুবলীগ কুয়েত শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েত শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুসা, আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখার সহ সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান ভুঁইয়া, বৃহত্তর সিলেট আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম সম্পাদক বাবুল মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা শিপন মিয়া, লেচু মিয়া, মানিক মিয়া প্রমুখ।
এতে বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ কুয়েত শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম শাহিন,বৃহত্তর সিলেট বিভাগ আওয়ামীলীগ কুয়েতের সভাপতি নজরুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক দালালদের চক্রান্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। সে সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ‘৭৫ পরবর্তী সামরিক সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে বাধা প্রদান করায় দীর্ঘদিন তাকে প্রবাসে কাটাতে হয়। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফেরেন।শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালোবাসার জবাবে তিনি বলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য তিনি দেশে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।কুয়েত আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে একসাথে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন বক্তব্য প্রদানকালে।
নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে।